মো.জাকির হোসেন :
কুমিল্লার বুড়িচং থানা পুলিশ গত বুধবার রাতে উপজেলার কুমিল্লা-বুড়িচং-মীরপুর সড়কে পরিবহণে গন ডাকাতির প্রস্তুতির সময় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৪ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করে।
বুড়িচং থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক পিপিএম জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক পিপিএমের নেতৃত্বে থানার এস আই সুজয় কুমার মজুমদার, এস আই নন্দন চন্দ্র সরকার, এস আই মিন্নত আলী, এ এস আই মহসীন আলী, এ এস আই মেজবাউল আলম ও এ এস আই ওহিদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স সহ কুমিল্লা-বুড়িচং-মীরপুর সড়কের উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের মহিষমারা এলাকায় অভিযান চালায়। ওই স্থানে রাত সাড়ে ১১ টায় একদল অস্ত্রধারী দুর্ধর্ষ ডাকাত মালবাহী ও যাত্রীবাহি বিভিন্ন পরিবহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে সড়কের পাশে ঝোপে অবস্থান নেয়।
এসময় বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনারস্থলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৪ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যদেরকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে। ডাকাতদের কাছ থেকে একটি দেশীয় পাইপ গান, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি কিরিছ, ২টি লোহার দা-ছেণি, ১টি স্টিলের চাপাতি, ১টি স্টিলের পাইপ, ১টি লোহার পাইপ ও ১টি লোহার রড উদ্ধার করে।
অটককৃত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা হলো কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার এতাবারপুর (ওয়ারিশ বাড়ি) গ্রামের মৃত আরব আলী’র ছেলে মোঃ বাবুল হোসেন (৪৪), চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ডুব্বী (প্রধানীয় মসজিদ বাড়ী) গ্রামের জয়নাল আবেদীন প্রধানীয়া’র ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন (৩০), কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মহিদপুর (মোল্লা বাড়ী’র) গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ রবিউল আউয়াল প্রধান জিসান (২৫) ও একই জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের (শিকারপুর) গ্রামের মৃত রেজু মিয়ার ছেলে মোঃ নুরু মিয়া (৬০)।
পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের একাধিক মামলা রয়েছে। ডাকাতরা সংঘবদ্ধ হয়ে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, চান্দিনা, বরুড়া, দাউদকান্দি, হোমনা, তিতাসও লাকসামসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি ও রাহাজানি করার অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুলিশবাদী হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক ২টি মামলা বুড়িচং থানায় দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বুড়িচং থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত ডাকাতদেরকে কুমিল্লা কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।